Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
চকোরিয়া সুন্দরবন জানা অজানা গল্প
বিস্তারিত

কক্সবাজার জেলার  মাতামুহুরী নদীর মোহনায় অবস্থিত একটি বদ্বীপীয় ম্যানগ্রোভ বন। দৃশ্যত সুন্দর বলেই সুন্দরবন, তবে নামটি ওই বনে সুন্দরি গাছের (Heritiera fomes) আধিক্যের জন্যও হতে পারে। এক সময় চকোরিয়া সুন্দরবনের আয়তন ছিল প্রায় ১৮,২০০ হেক্টর। পরে এ বনের ৭,৪৯০ হেক্টর রিজার্ভ বন ও অবশিষ্ট সংরক্ষিত (protected) বন ঘোষিত হয়।

১৯৯৪ সালের জরিপে দেখা যায় যে, সুন্দরী, গেওয়া,  কেওড়া, হেন্তাল ইত্যাদি যথেষ্ট পরিমাণে থাকলেও পশুর, ধুন্দুল, হাওয়া, গোলপাতা প্রায় লোপ পেয়েছে। চিংড়িচাষের এলাকায় সব গাছগাছালি কেটে ফেলা হয়, অন্যত্র থাকে ছড়ানো ছিটানো কয়েকটি। গোটা চকোরিয়া এখন বিরান এলাকা, সর্বত্র শুধুই কাটাগাছের গোড়া, আর সব মিলিয়ে দু’শোর মতো সুস্থসবল বৃক্ষ। সম্প্রতি বনটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। বন ধ্বংসের পিছনে যেসব কারণ রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য জ্বালানির জন্য বনজসম্পদ পাচার; অত্যধিক পশুচারণ; বসতবাড়ি নির্মাণের জন্য ব্যবহার; মাছ শিকার; এবং চিংড়িচাষ। ১৯৭৭-১৯৮২ সালের মধ্যে চিংড়িচাষ ও বসতবাড়ি নির্মাণের জন্য প্রায় ৩,০০০ হেক্টর জমি ইজারা দেওয়া হলে স্বার্থান্বেষী লোকদের কবলে গোটা বনটিই শেষ পর্যন্ত উজাড় হয়ে যায়। সমীক্ষা থেকে দেখা গেছে যে এখনও ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের সাহায্যে চকোরিয়া সুন্দরবনের পুনর্বাসন সম্ভব।

ছবি
ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
07/09/2021
আর্কাইভ তারিখ
20/09/2021